করলার উপকারিতা কি

করলা  তারুণ্য ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কারণ করলাই যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা ত্বক এবং শরীরের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে এবং বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে  ধীর করতে সাহায্য করে।
করলা খেতে তেঁতো হলেও করলার উপকারিতা জানলে আপনিও করলা  খেতে উৎসাহিত হবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক,  করলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
পোস্টসূচিপত্র 

বার্ধক্য ঠেকাতে করলার ভূমিকা

করলার উপকারিতা অনেক বিশেষ করে বার্ধক্য প্রতিরোধে  করলার ভূমিকা অপরিসীম ।করলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি,বেটা ক্যারোটিন ত্বকের কোষকে সুরক্ষিত রাখে এবং কোষের পূর্ণ গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও বলিরেখা ,ফুসকুড়ি কমাতে ও উপকারী করলা ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে করলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে  এবং ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে করলা। করলা রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে আর বিশুদ্ধ রক্ত ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে তাই  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
সানবান প্রতিরোধে নিয়মিত করোলা খেলে সূর্যের ক্ষতিকর UV  রশি  থেকে  ত্বককে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন।আবার করলার রস ত্বককে সরাসরি ব্যবহার করলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

করলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

করলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। করলার মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে তা শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
করলা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে হজম শক্তি বৃদ্ধি পেলে শরীর পুষ্টি উপাদান বেশি শোষণ করে ফলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়  এবং  অন্ন্তের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রক্ত পরিশোধন করলা প্রাকৃতিক ভাবে রক্ত পরিশোধন করে ফলে শরীরে টক্সিন এর মাত্রা কমে যায় । শরীরে টক্সিন এর মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই করলা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম।
করলা ভিটামিন সি এর উৎস করলা খেতে তেতো হলেও এর উপকারিতা অনেক। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ করলা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে যার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে  করলা

করলা ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকারী । করলার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ মেদ কমাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে উপকারি । করলা ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য করে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:
কম ক্যালরি বেশি পুষ্টি   করলা কম ক্যালরিযুক্ত কিন্তু করলার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকায় করলা রাখলে এটা যেমন  শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি করবে ঠিক তেমনি ভাবে  ক্যালরির পরিমাণও কমে যাবে তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় করলা রাখার বিকল্প নেই।
ফাইবার সমৃদ্ধ করলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়াকে  ধীর করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, এতে করে অনেক বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যা ওজন কমতে উপকারি।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ  রক্তে শর্করা কম থাকলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় যা শরীরের চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। করলা  রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে তাই আমরা বলতে পারি ওজন কমানোর জন্য করলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।
ক্যালরি বার্ন নিয়মিত করলা খেলে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব হয় কারণ করলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার ফলে দ্রুত ক্যালোরি বার্ন করা যায়।

সর্দি ,কাশি , জ্বরের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী করলা

করলা সাধারণত সর্দি-কাশি জ্বরের সরাসরি প্রতিকার নয় তবে করলা প্রচুর গুণ সম্পন্ন একটি সবজি। করলার মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে তা ইমিউন সিস্টেম কে শক্তিশালী করে যা শরীরকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে তাই যদিও করলা সর্দি কাশি জ্বরের সরাসরি ওষুধ নয় , করলার জুস হালকা জ্বর , শরীরের দুর্বলতা কিছুটা উপকারী হতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদী জ্বর বা কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত । যদিও করলা পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে গর্ভাবস্থায় করলা সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত। করলার কিছু পুষ্টিগুণ গর্ভাবস্থায় উপকারী কিন্তু কিছু পার্শ্বপ্রতিকরা থাকতে পারে ।
গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার সম্ভাব্য উপকারিতা  ভিটামিন এ ফলেট এবং মিনারেলস যেমন ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ যা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তাই গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে করলা খাওয়া উপকারী।
পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে করলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে আর গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা ।তাই গর্ভাবস্থায় করলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

তারুণ্য ধরে রাখে করলা

করলার উপকারিতা অনেক বিশেষ করে  তারুণ্য ধরে রাখতে করলা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিচে আলোচনা করা হলো: 
করলার রস প্রতিদিন সকালে করলার রস খেলে শরীরের থাকা টক্সিন দূর হয় যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে।
করলার ফেস মাক্স করলার রস ও মধু মিশিয়ে ফেস মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে এটা ত্বকের গেটসের দূর করতে সাহায্য করে।
করলার স্যুপ করলার স্যুপ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কারণ করলায় থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস ত্বক ও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
করলার তেল বীজ থেকে তৈরি তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ফাইন লাইন এবং রিঙ্কেল কমাতে সাহায্য করে।

পরিশিষ্ট


















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্ট করুন

comment url